রোহিঙ্গা ইস্যুতে দৃশ্যত কোনো উন্নতি না ঘটিয়েই আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে) তাঁর আদেশ মানার তথ্য দিচ্ছে মিয়ানমার।
এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার বাস্তবে আদেশ কতটা মানছে তা পর্যবেক্ষণ করতে তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছেন আইসিজে।
জেনোসাইডবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা জেনোসাইড সংঘটনের অভিযোগে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গত বছর আইসিজেতে মামলা করে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী আদেশের বিষয়ে শুনানির পর ২৩ জানুয়ারি আইসিজে গাম্বিয়ার আবেদন গ্রহণ করেন এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা জেনোসাইড ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের। আইসিজের সেই আদেশের অনুলিপি দুই দিনের মধ্যে হাতে পেয়েই জাতিসংঘ মহাসচিব তা নিরাপত্তা পরিষদে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীনের এ বিষয়ে আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে।
কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ নিরাপত্তা পরিষদের সমমনা কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র এক বিবৃতিতে মিয়ানমারকে আইসিজের আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানায়। এমন পটভূমিতে আইসিজে নিজেই আদেশ মেনে চলা পর্যবেক্ষণ করতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছেন।
আইসিজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক কাঠামো আইসিজে তাঁর কাজের ধরন ও প্রক্রিয়া পর্যালোচনার অংশ হিসেবে আদেশ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আওতায় তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠিত হবে। ওই কমিটি আইসিজের অন্তর্বর্তী আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আদালতকে সহযোগিতা করবে।
আইসিজে আরো বলেছেন, অ্যাডহক কমিটি মামলায় বিবদমান দুই পক্ষের সরবরাহ করা তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করবে এবং আদালতকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাদের মতামত জানাবে। এ ছাড়া সম্ভাব্য করণীয় বিষয়েও কমিটি আদালতকে সুপারিশ করবে।
জয়নিউজ/পিডি