প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা, ইউনিট ও মহানগর পর্যায়ের ৬৪ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। এতে করে দলে সাংগঠনিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূণ্যতা পূরণে দলের প্রকৃত ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাদের শূণ্যপদে পদায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা এসএম আলমগীরের শোকসভায় এ তথ্য জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আ জ ম নাছির বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের মহানগর পর্যায় থেকে শুরু করে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের ৬৪ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই নেতাকর্মীরা ছিলেন দলের সম্পদ। ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত দলে ঢুকে পড়েছে। দলের সম্পদ দুঃসময়ের এই নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। আর কাউকে আমরা হারাতে চাই না।
‘ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাকর্মীদের মহানগর থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সঠিক নেতৃত্বের আসনে আনতে পারলে দলের জন্য তা মঙ্গলজনক হবে। এখন করোনাকালের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই ঢেউ প্রতিরোধে প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে।’
সভায় নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দল এক যুগেরও সময়ের কাছাকাছি ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত ঢুকে পড়ায় পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মী কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
‘কারণ এরাই দলের মূল সম্পদ, যারা কখনও আদর্শচ্যুত হতে পারেন না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে চাই এবং নেতৃত্বের আসনে টেনে আনার জন্য নিরলস প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
মাহতাব বলেন, এসএম আলমগীর অকালে ঝরে গেলেন। তিনি সংগঠনের দুঃসময়ের কান্ডারি ছিলেন। তার মতো একজন দলীয় নেতার মৃত্যু আমাদেরকে শোকাহত করেছে। এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সামনের কাতারে আনতে চাই।
জহুরুল আলম জসিম ও এরশাদ মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী আলতাফ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমেদ চৌধুরী, নিয়াজ আহমেদ, মোজাফফর আহমেদ মাসুম, মোহাম্মদ জাহিদ, ফয়েজ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইকবাল চৌধুরী, ওহিদুল আমিন ও মুজিবুর রহমান শরীফ প্রমুখ।