সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন পাবার বিষয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। আমরা সময়মতো, চুক্তির নির্ধারিত সময়েই করোনার ভ্যাকসিন পাবো বলে জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করা ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আমাদের অ্যাগ্রিমেন্টে যেভাবে বলা আছে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।
‘তাদের (সেরাম ইনস্টিটিউট) সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আজও সেরামের সঙ্গে কথা বলেছি। অ্যাগ্রিমেন্টে যেসব ক্লজ রয়েছে, সেভাবে ভ্যাকসিন আসার কথা। সেভাবেই আমরা ভ্যাকসিন পাবো। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’
কিন্তু ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, ওদের (সেরাম ইনস্টিটিউট) কাছে ইতোমধ্যে ৭০টি দেশ থেকে ভ্যাকসিনের জন্য রিকোয়েস্ট রয়েছে। কিন্তু তারা দেশকে প্রায়োরিটি দিতে চাচ্ছে। অনেক দেশের অনেক বেশি অর্ডার রয়েছে। কোভ্যাক্সেরও রয়েছে অর্ডার। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের অর্ডার অনেক কম। তারা বানাবে দুই বিলিয়নের মতো। আমাদের দরকার ৩০ মিলিয়ন। সে হিসাবে এটা তাদের কাছে কিছুই না।
রাব্বুর রেজা জানান, সেরাম থেকে চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা প্রথম লটের ভ্যাকসিন পাবো। ইতোমধ্যে তারা গত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে এ সংক্রান্ত সব কাগজ জমা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে চুক্তি হয়।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে দেওয়া পর্যন্ত এই টাকা প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে।