মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সোনা পাহাড় গ্রামের চৌধুরী ম্যানসনে থেকে জঙ্গিরা চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থাপনায় নাশকতার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা মুফতি মোহাম্মদ খান এ তথ্য জানান।
ঘটনাস্থল থেকে একে ২২ রাইফেল ১টি, তিনটি পিস্তল, ৫টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ি থেকে ইতোমধ্যে দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক, কেয়ার টেকারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহর ও আদালতে এ জঙ্গিরা বড় পরিসরে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। র্যাব আগে থেকেই এ তথ্য পেয়েছিল। এরপর জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করতে র্যাব সক্রিয় হয়। বৃহষ্পতিবার রাত ১টায় জোরারগঞ্জ থানার সোনা পাহাড় গ্রামের চৌধুরী ম্যানসনে জঙ্গিদের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, ওই বাড়িতে চার জঙ্গি অবস্থান নেয়। অভিযানের আগে তাদের বের হয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র্যাব সদস্যরা ওই বাড়ি লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি শুরু করলে জঙ্গিরা বাড়ির ভেতর বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। র্যাব ওই বাড়ির আশপাশ থেকে কিছু বোমা উদ্ধার করেছে। যে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
তিনি বলেন, ওই বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিদের কেউ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টায় জোরারগঞ্জ থানার সোনা পাহাড় গ্রামের চৌধুরী ম্যানসনে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাড়িটির কাছেই ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় এক সপ্তাহ আগে ভাড়া নিয়ে জঙ্গিরা এখানে বসতি স্থাপন করে।
জয়নিউজ/ আরসি