‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদের ব্যাপারেও কঠোর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা থেকে আসা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা হয়।
আহমদ হোসেন বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারি না। তাছাড়া মনোনয়ন চেয়ে যারা আবেদন করেছিলেন প্রত্যেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। অন্যথায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দলীয় পদ হারাবেন বলে মুচলেকায় উল্লেখ ছিল।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার যুগপূর্তি, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা নৌকার বিজয়ের মধ্য দিয়ে পালন করতে চাই। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হিসেবে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে আমাদের প্রার্থীর বিজয় অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
নির্বাচনি পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে আহমদ হোসেন বলেন, ভোটার উপস্থিতিতেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে এই কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে ঘরে ঘরে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে।
মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী, গণমানুষের রায়ে বিশ্বাসী। সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে বলে আমি আশাবাদী। গণসংযোগে নৌকা ও আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে বিএনপি নানা অজুহাত তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে পরাজয়ের গ্লানি এড়াতে চাইছে।
অন্যান্যের মধ্যে এতে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বেলাল হোসেন, মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।