চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরের টাইগারপাস বটতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন— মোজাম্মেল, হোসেন, সোহাগ, মাহমুদ, শাহীন, জাবেদ, মরিয়ম, রাশেদা বেগম, নওশাদ, আসাদ, রাব্বি, জাহেদ, নয়নসহ মোট ১৫ জন।
সূত্র জানায়, লালখানবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিদ্দিক আহমেদ যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
অতিথিরা আসার আগে লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম তাদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন। এসময় দুই পক্ষ মুখোমুখী হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দুই পক্ষই একে অপরকে পাথর নিক্ষেপে করেন। পরে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা তাদের উপর হামলা করে। এতে মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে হামলার করার বিষয়টি অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনি প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেলাল গ্রুপের সঙ্গে অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীও যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।