ঢাকায় পৌঁছেছে ভারতের উপহার

ঢাকায় পৌঁছাল করোনার ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৬২ ডোজ টিকা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৬৭টি বক্সে ভারত সরকারের উপহারের টিকাবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইট অবতরণ করে।

- Advertisement -

দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এসব টিকা হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

- Advertisement -google news follower

উপহারের এই টিকা আসার পর বিভিন্ন পর্যায়ের ২০-২৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এরপর হবে মহড়া। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে সারা দেশে টিকা দেওয়া হবে। অবশ্য এসব প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু করা হবে তা জানানো হয়নি। এছাড়া অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের প্রায় আট কোটি মানুষ টিকা নিতে পারবে না।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান ২৫-২৬ জানুয়ারি আসার কথা।

- Advertisement -islamibank

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, দেশে টিকা আসার পর প্রথমে কুর্মিটোলা বা কোনো একটি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, সাংবাদিকদের একজন করে প্রতিনিধিকে টিকা দেওয়া হবে। তাঁদের ২০-২৫ জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগ করে দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তী সময়ে ৪০০ থেকে ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে ঢাকার চারটি হাসপাতালে ড্রাই রান বা মহড়া দেওয়া হবে। এই হাসপাতালগুলো হচ্ছে—ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এরপর এক সপ্তাহ তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না। ফলাফল দেখে পরবর্তী সময়ে সারা দেশে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

তিনি জানান, যে মাসে শুরু হবে সে মাসে টিকা পাবে ৬০ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ, তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ। আশা করছি পূর্বনির্ধারিত সময় অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সারা দেশে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা যাবে। করোনার টিকা আমরা ইপিআইর (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) মতো মাঠে-ঘাটে কেন্দ্র করে দিব না। এই টিকা দেওয়া হবে হাসপাতালে। যাতে করে কোনো সমস্যা হলে তাত্ক্ষণিক তা ম্যানেজ করা সহজ হয়।

আব্দুল মান্নান জানান, টিকা দেওয়ার জন্য আইসিটি বিভাগ এরই মধ্যে একটি অ্যাপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে। এ ছাড়া টিকা গ্রহণকারীদের জন্য ১৬২৬৩ নম্বরের একটি হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সার্ভিস রাখা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আপাতত সরকারিভাবেই টিকা দেওয়া হবে। বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। কেউ টিকা আনলেও তা সরকারি নিয়ন্ত্রণে একই অ্যাপ ব্যবহার করে দিতে হবে।

জয়নিউজ/পিডি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM