একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, পৃথিবীর সকল উন্নয়নের পেছনে রয়েছে শিক্ষার অবদান। শিক্ষাই সকল উন্নয়নের চাবিকাঠি। যার কারিগর যোগ্য শিক্ষক। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকের যোগ্য মর্যাদা দিতে পারলেই দেশ ও বিশ্ব লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। একবিংশ শতাব্দির মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে একমাত্র যোগ্য শিক্ষক।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় নগরের “কে বি আব্দুল আজিজ মিলনায়তনে”বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল মহাজনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সুনীল চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম এর সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। সভায় জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুরুল হক সিদ্দিকী, রনজিৎ নাথ, মোঃ ওসমান গনি, প্রদীপ কানুনগো, মোঃ জানে আলম, তাপস চক্রবর্তী প্রমুখ।
শিক্ষক সমাজের দাবির সাথে একমত পোষণ করে ড. অনুপম সেন বলেন, বৈষম্যের অবসানে রাষ্ট্রের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সভায় বক্তারা শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা উন্নয়নে রাষ্ট্রের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। টেকসই উন্নয়নসহ দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না করে একযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ একান্তই জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে সব বৈষম্য দূরীকরণসহ “শিক্ষকের অধিকার শিক্ষার অধিকার” নিশ্চিত করণের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো ও আইএলও’র যৌথ ঘোষণায় শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের একশটির বেশি দেশ স্বাক্ষর করে এবং ওই বছর থেকে ৫ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়। সাংগঠনিকভাবে দিবসটি উদযাপন করলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয় না।
জয়নিউজ/জুলফিকার