নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ ঘটনায় তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধরা হলেন— উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।
গুরুতর আহতরা হলেন— চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫)।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ তিন জনসহ গুরুতর আহত পাঁচ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিয়ে কাদের মির্জার ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারিরা।
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।