দেশের ভোজ্যতেলের বাজারে পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এ চাহিদা মেটাতে ১৪ থেকে ২০ লাখ মেট্রিকটন ভোজ্যতেল প্রতিবছর আমদানি করতে হয়। এতে খরচ হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারও অস্থির হয়ে উঠে।
এজন্য তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকার নিয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি গবেষণা ইনস্টি্টিউট।
উপজেলার পশ্চিম দেওয়ানপুর এলাকায় পাঁচ বিঘা জমিতে এ বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের চাষ করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষককের মাঝে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সূত্র জানায়, কৃষকের সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশক বিঘাপ্রতি সূর্যমুখী চাষে খরচ হবে মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। যা থেকে তিন থেকে চারগুণ আয় করা সম্ভব। আর তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া যাবে। এটি চাষে তেমন কোনো ঝামেলাও নেই।
এর আগে অনেকেই সৌন্দর্যবর্ধনকারী ফুল হিসেবে বাড়ির আঙিনায় এটা লাগিয়ে থাকতো। তবে হাটহাজারীতে এ সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
হাটহাজারি উপজেলার কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ড. মো. খলিলুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ব্রিডার বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের বারি সূর্যমুখী-৩ বীজ চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন যদি ভালো হয় তাহলে কৃষকরা এটা চাষে খুব লাভবান হবে। এখান থেকে বীজ উৎপাদন করে আমরা সেটি বীজ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে পাঠাব।
তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখী দেখতে শুধু রূপময় নয়, গুণেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজের তেল স্বাস্থ্যর জন্যও অসাধারণ। অন্যান্য তেলবীজে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল থাকে তা সূর্যমুখীতে তা নেই। বরং আরও উপকারী উপাদান ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
জয়নিউজ/পিডি