পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের। বাজারে তেল, সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের দাম। এদিকে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হলেও তা চাহিদা তুলনায় অপ্রতুল বলছেন ক্রেতারা।
তাঁরা বলছেন, পণ্যের দাম হু হু করে বাড়লেও আয় না বাড়ায় বাজারে পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাছাড়া টিসিবির যেসব পণ্য বিক্রি করছে চাহিদার তুলনায় সেটা অনেক কম। এছাড়া দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব পণ্য অনেকসময় কেনা সম্ভবও হচ্ছে না। তাই সরকারের সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) রিয়াউদ্দিন বাজার, চকবাজার, কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়াই।
শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে আসায় বাজারে সবজির দাম প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি করলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমরার ৩৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, খিরাই ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকা দরে, দেশি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি আদা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৫ টাকায়, পোলাওয়ের খোলা চাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায় এবং প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়।
মাংসের বাজারে সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগির ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস ৮০০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাতল ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি