দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনে চলাচল ও কাজে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হলেও বাস্তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অফিস-আদালত, গণপরিহন, ব্যাংক-বিমা, মার্কেট, কলকারখানা ইত্যাদি সব কিছুই খোলা রয়েছে। তাহলে চলমান ‘লকডাউন’ আর ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যে পার্থক্য কী হবে?
করোনাভাইরাস পরিস্থিরি ঊর্ধ্বগতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এ সময়ে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস বন্ধ, গণপরিহন, মার্কেট, গার্মেন্টস কারখানাসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কঠোর লকডাউন। লকডাউন চলাকালে কোনোভাবেই মানুষকে ঘরের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না।
এর আগে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
যদিও গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘চলাচল ও কাজে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ চলছে যা ১১ এপ্রিল রাতে শেষ হবে। তবে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনে চলাচল ও কাজে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হলেও বাস্তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অফিস-আদালত, গণপরিহন, ব্যাংক-বিমা, মার্কেট, কলকারখানা ইত্যাদি সব কিছুই খোলা রয়েছে। তাহলে চলমান ‘লকডাউন’ আর ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধে পার্থক্য কী হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমেকে বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলতে যে চিন্তাটি করা হয়েছে, সেটা হলো শুধু জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর করা হবে না। দেশের জনস্বাস্থ্যবিদেরাও এই পরামর্শ দিয়েছেন।
খোলা থাকবে যেসব জরুরি সেবা
ওষুধের দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই এগুলো সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা রাখা হবে। তবে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে সরকারের অন্যান্য জরুরি সেবা যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, স্বাস্থ্য, ত্রাণ বিতরণ, স্থলবন্দর, ইন্টারনেট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনা–নেওয়া ইত্যাদি অফিস খোলা থাকবে।