করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ মারা গেছেন। শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোর ৪টা ১৪ মিনিটে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
এর আগে গত ৩০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হন চট্টগ্রামের সন্তান ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ। তিনি সন্দ্বীপের আদি বাসিন্দা হলেও পরে বোয়ালখালীতে এসে স্থায়ী হন। হালিশহরেও একটি বাসা ছিল তাঁর।
আজ (শনিবার) সকাল ৮টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ড. রফিকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাঁর লাশ চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। বিকেল ৪টায় বাদ আসর নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাঁকে শায়িত করা হবে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ। তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং শোকাভিভূত।
এক শোকবার্তায় পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর মতো একজন সদালাপী, ধার্মিক, সৎ, দক্ষ ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কর্মকর্তা বিরল। কর্মজীবনে তিনি দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশি ও বিদেশি অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পৃথক এক শোকবার্তায় জানান, তাঁর মতো অমায়িক ও কর্মনিষ্ঠ কর্মকর্তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা/কর্মচারী তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছে এবং পরম করুনাময়ের কাছে তাঁর মাগফিরাত ও বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছে। পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসিব করুন।
উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে ২০১৯ সালের ২২ মে যোগদানের পূর্বে তিনি দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
ইতোপূর্বে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র রেখে গেছেন।