শুরুটা ভালো হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। দ্রুতই তাদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন প্রষিধ কৃষ্ণা ও সাকিব আল হাসান। এরপর মনিষ পান্ডে ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে আশার আলো দেখেছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর জেতা হলো না ডেভিড ওয়ার্নারদের।
আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ১১ রানে হেরে গেছে তারা। জয় দিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছেন কেকেআরের হয়ে খেলা বাংলাদেশি তারকা সাকিব।
রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে চেন্নাইয়ে বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই হরভজন সিংয়ের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ারনার। তবে সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি প্যাট কামিন্স। বেশিক্ষণ অবশ্য টিকতেও পারেননি এই অজি ওপেনার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রষিধ কৃষ্ণার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ারনার। পরের ওভারে নিজের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সাকিব। ৬ বলে ৭ রান করা ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করেন তিনি।
এরপরই হায়দরাবাদ ইনিংসের হাল ধরেন মনিষ পান্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। দুজন মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ বলে ৫৫ রান করে বেয়ারস্টো ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে।
আরেক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান মনিষ। কিন্তু কলকাতার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ডে। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে তার দল থামে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে। কলকাতার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে দুই উইকেট পান প্রষিধ কৃষ্ণা। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব।
এর আগে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় কলকাতা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান তুলেন নিতিশ রানা ও শুভমন গিল।
১ চার ও ছক্কায় ১৩ বলে ১৫ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ট হয়ে গিল সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর তিন নম্বরে খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাটির সঙ্গে জুটি বাধেন রানা। দুজন মিলে তুলেন ৯৩ রান।
৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ বলে ঝড়ো ৫৩ রান করে রাহুল সাজঘরে ফেরত যান। রানার সামনে সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৬ বলে ৮০ রান করে বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হন তিনি।
এই দুইজনের বিদায়ের পর আর সেভাবে আগায়নি কলকাতার ইনিংস। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে কলকাতা। হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রশিদ খান।