পুলিশের গুলিতে আরো এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহতের জেরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে আবারও উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে। ঘটনাস্থল মিনেসোটার ব্রুকলিন সেন্টারে চলছে কারফিউ। এরই মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনেরও বিচার কার্যক্রম চলছে আদালতে।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই মিনেসোটায় আবারো কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি হত্যার ঘটনায় তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্র। টানা তিন দিনের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কারফিউয়ের পাশাপাশি বুধবার (১৪ এপ্রিল) সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মিনিয়াপোলিস শহরে সেনা সদস্যদের টহলের মধ্যেই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ নারী পুলিশ কর্মকর্তা কিমবার্লি পটারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
এদিকে, একই শহরের অন্য একটি আদালতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার দায়ে অভিযুক্ত অপর শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনের বিচার কার্যক্রম চলছে। বুধবার শেষ হওয়া শুনানিতে ডেরেকের আইজীবীরা ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে আদালতকে জানান, নিহত ফ্লয়েডের ঘাড়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ৪৫ বছরের ডেরেক চাওভিন তাদের মধ্যে প্রধান আসামি। দোষী সাব্যস্ত হলে এই মামলায় তার ৪০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
গত বছরের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় গোটা বিশ্ব প্রতিবাদে এক হয়েছিল। বছর না ঘুরতেই সেই মিনিয়াপোলিস শহরেই জর্জ ফ্লয়েডকে যে স্থানটিতে হত্যা করা হয়েছিল, সেখান থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে ২০ বছর বয়সী ডান্টে রাইট নামক এক তরুণকে গুলি করে হত্যা করল শেতাঙ্গ নারী পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় সময় রোববার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর শহরটিতে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
জয়নিউজ/পিডি