করোনা প্রকোপে গত বছর স্বর্ণের দাম তুমুল বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। প্রতি আউন্সের দাম হয়েছে এক হাহার ৭৭৮ ডলার।
এপ্রিলের শুরুতে স্বর্ণের দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববাজারে হলুদ ধাতুর দাম এবং ডলার-টাকার দামের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে স্বর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার মূল কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাব। যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইল্ড কমায় এর দাম বেড়ে গেছে। ফলে বন্ডে মানুষের আগ্রহ কমছে। সেই সঙ্গে অন্য অনেক মুদ্রার বিপরীতের ডলারের দর কমে গেছে। এতে স্বর্ণের দামে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া স্বর্ণের দামে প্রচ্ছন্ন একটি প্রভাব ফেলেছে চীন।
করোনা মহামারির ফলে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে আঞ্চলিক টানাপোড়েন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন এবং বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তার ফলে দাম বাড়ছে সোনার।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণের গ্রাহক চীন তার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোকে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির শঙ্কায়ও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি