গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় চার দিন ও মতিঝিল থানার মামলায় তিনদিনসহ মোট সাতদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামি মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। ব্যাপক সহিসংতা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। টার্গেট করে হামলা চালনো হয় সরকারি স্থাপনায়। করা হয় অংগ্নিসংযোগ। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে হেফাজত নেতাকর্মীরা। আক্রোশ থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যমও।
সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলার ২৩টি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।
ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার সহিসংতার ঘটনায় মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মামুনুলের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। আমরা অপেক্ষা করছি একটা কেস চলমান আছে। সেটার রিমান্ড চলছে এটা শেষ হলেই আমরা আবার তাকে রিমান্ডে নিয়ে আসব।
সিআইডির তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি