ঈদকে কেন্দ্র করে দোকানপাট-শপিংমলগুলো থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার ( ৬ মে) ‘কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শপিংমল-দোকানপাটগুলোতে যেভাবে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এতে বলা যায়, দেশে সংক্রমণ আবারও বাড়বে। যার প্রভাব আমরা ১৬ মে’র পরে দেখতে পাবো।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘একটা ঈদে জামাকাপড় না কিনলে কী হয়? মার্কেট সরকার খুলেছে, যাওয়া-না যাওয়া আমাদের বিষয়। অনেক নারী ও শিশু মাস্ক পরছে না।’
সবকিছু তো সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন এগুলো সেভাবে মানছে, বিষয়টা তা নয়।’
লকডাউনের কারণে সংক্রমণ কমেছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ কমাতে লকডাউন ছিল সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা। যদিও এটা ক্ষতি করে, অস্থিরতা তৈরি করে। কাজেই চিন্তা করেছি ব্যালেন্স করে মহানগরের ভেতর লকডাউন দিতে।’
একইসঙ্গে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কার্যক্রম নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুব কাজে দিয়েছে। এই স্লোগানে সচেতনতা বেড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে এটা অ্যাডাপ্ট করেছে। এটা আমারাও শুরু করেছি।’
গতবারের লকডাউনের পর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অক্সিজেনের জন্য কীভাবে দাপাদাপি হয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সে, হাসপাতালের বারান্দায় কী হয়েছে, সেটা দেখেছি।
ভারতেও এমনটা হয়েছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা ভুলে যাই, এটা খুবই অন্যায়। আমরা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দিই। অর্থনীতির ক্ষতি হয়। পরিবারের ক্ষতি হয়।’