হাটহাজারীতে জরুরি সেবার হটলাইনে ‘অপ্রয়োজনে’ খাদ্য সহায়তার জন্য টেলিফোন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সতর্কবার্তা শুনতে হলো এক তরুণকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, তিনি হালদা নদী পেরিয়ে খাদ্য সহায়তা নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গিয়ে শোনেন, ওই তরুণ প্রশাসনকে ‘টেস্ট’ করতে ৩৩৩ এ ফোন দিয়েছিলেন।
আসা-যাওয়ায় প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়েছে। সাজা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রথমবার হওয়ায় উনাকে সতর্ক করেছি—বলেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহেদ উল্লাহ বলেন, আমাকে নিয়ে ইউএনও সাকিবদের বাড়িতে যান। তাদের অবস্থা ভালো। ত্রাণের দরকার নেই। তার বয়স কম, বাচ্চা মানুষ। না বুঝে করে ফেলেছে। ইউএনও সাহেব তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
খাদ্য সহায়তা চেয়ে হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ৯নং পশ্চিম বাড়িয়াঘোনা ওয়ার্ডের সাকিবের ফোন সোমবারই (২৪ মে) আসে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, সহযোগিতা চেয়ে একদিনে বেশ কয়েকজন ফোন করেন। কোথাও স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান খাদ্য সহায়তা নিয়ে যান। পাশাপাশি আমিও যাই।
‘এটা দূরবর্তী হওয়ায় আমি নিজেই সেখানে যাব ঠিক করি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহেদ উল্লাহকে খবর দিই। উপজেলা সদর থেকে গাড়িতে করে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু ও পেঁয়াজ এর প্যাকেট নিয়ে রওনা হই।’
রুহুল আমিন বলেন, হালদা নদী পেরিয়ে আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে পৌঁছালাম সাকিবদের বাড়িতে। গিয়ে দেখি সীমানা প্রাচীর ঘেরা তিনতলা বাড়ি। এর এক তলার মালিক সাকিবরা, বাকি দুইতলা দুই চাচার। বাবা বেসরকারি একটা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। সাকিবরা দুই ভাই, সে বড়।
ইউএনও ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, যাওয়ার পর সাকিব জানালেন, তাদের ত্রাণের দরকার নেই। তাহলে কল দিলেন কেন জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় দেখেছি ৩৩৩ এ ফোন করলে খাবার পাওয়া যায়। তাই এই সেবা কেমন সেটা দেখার জন্য। মানে এটা আসল, নাকি নকল? একসঙ্গে হাটাহাজারীর ইউএনও অ্যাকটিভ কিনা সেটাও বোঝা হয়ে গেল।’
জরুরি সেবা নিয়ে এরকম আচরণ ঠিক কি-না, প্রশ্ন করলে সাকিব ‘ভুল স্বীকার করেন’ বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন।