চট্টগ্রামে গতকাল রোববার সকাল থেকেই মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার এ বর্ষণে পুরো নগর জলমগ্ন হযে পড়ে। অলিগলি থেকে সড়কে পানিতে নগরবাসী কার্যত বন্দি হয়ে পড়ে। যারা কাজে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তারা পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে। অনেকের বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় ঘরেও টেকা দায় হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুন) সকালেও নগরের অনেক নিম্নাচল এলাকায় পানি নামেনি।
এদিকে মৌসুমি বায়ু দেশের উপকূল অতিক্রম করায় এবং লঘুচাপ আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও ৯ থেকে ১১ জুন তুমুল বর্ষণের আভাস রয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নগরের বায়েজিদের আরেফিন নগর ও লালখান বাজার এলাকায় অপরূপ আবাসিক সোসাইটি এলাকায় গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেক পরিবার বসবাস করছেন। এছাড়া নগরের আকবরশাহ, বায়েজিদ ও সলিমপুর এলাকায়ও পাহাড়ে কেটে বানানো ঘরে অনেক পরিবার বাস করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, কয়েকদিন কমবেশি বৃষ্টিপাত হবে। এক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বর্ষণ হবে। আর ৯ থেকে ১১ জুন থাকবে তুমুল বর্ষণ।
তিনি বলেন, সাধারণত এক নাগাড়ে বেশ কিছুদিন বর্ষা হলে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যায়। তখন ভারী থেকে অতিভারী বর্ষা হলে ভূমিধস হয়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে এবং অতিভারী বর্ষণ হয়, তবে পাহাড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
অতীতে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমাদের দেশে ভূমিধসের ঘটনা যতটা না প্রাকৃতিক তার চেয়ে বেশি মানবসৃষ্ট। কেননা, অবাধে পাহাড় কাটা হয়।
জয়নিউজ/পিডি