করোনা আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগের ঘাটতির কারণে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, বেসরকারি হাসপাতালে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর গড়ে ৫ লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি জুম প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষক জুলকার নাইন।
তিনি বলেন, কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্প্রসারণে উদ্যোগের ঘাটতি। অনেক কোভিড-ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করার ফলে আইসিইউসহ চিকিৎসা সংকট ছিল। করোনা সংক্রমণের এক বছর তিন মাস অতিবাহিত হলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি চিকিৎসা সুবিধার সম্প্রসারণ করা হয়নি। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত ৬৬৪টি সরকারি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ঢাকা শহরে ৩৭৪টি, চট্টগ্রাম শহরে ৩৩টি এবং বাকি ৬২ জেলায় ২৫৭টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
জুলকার নাইন বলেন, বাজেট এবং যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সব জেলায় ১০টি করে আইসিইউ শয্যা প্রস্তুতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০০ আইসিইউ শয্যা, ১৬৬ ভেন্টিলেটর, ৩৩৫ হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা। সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সংকটের কারণে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ জনগণ। একজন কোভিড-১৯ রোগীর গড় খরচ ৫ লাখ টাকার বেশি।
জয়নিউজ/পিডি