মহামারির প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৭১৯ চিকিৎসকের প্রাণহানি হয়েছে বলে শনিবার (১২ জুন) এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে দেশটির চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ১১১ জন চিকিৎসক মারা গেছেন বিহারে। দ্বিতীয় স্থানে দিল্লিতে ১০৯ জন, উত্তর প্রদেশে ৭৯ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৬৩ এবং রাজস্থানে ৪৩ জন চিকিৎসক মারা গেছেন করোনায়।
এর আগেও একবার কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কার সময়ে দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান সামনে এনেছিল আইএমএ। সে বার চিকিৎসকের মৃত্যুতে এগিয়ে ছিল দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিহার। কিন্তু এ বার রাজধানী অঞ্চল দিল্লির চেয়ে বিহারে মৃত্যু হয়েছে বেশি।
চলতি বছরের প্রথমদিকে ভারতে সংক্রমণ খানিকটা কমে এলেও গত মার্চ থেকে পুনরায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকে। যাকে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বলা হচ্ছে। এপ্রিল নাগাদ সংক্রমণের লাগামহীন অবস্থায় পৌঁছালে দৈনিক চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়।
এখন অবশ্য সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। গত ৭০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজারের বেশি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাঁচ দিন ধরে ভারতে সংক্রমণ এক লাখের নিচে রয়েছে। দেশটিতে মোট সংক্রমণ ২ কোটি ৯৩ লাখের বেশি। সংক্রমণ কমে এলেও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট প্রাণহানির তালিকায় সহস্রাধিক চিকিৎসকও রয়েছেন।
গতদিন মারা গেছেন চার হাজারের বেশি করোনা রোগী। এ নিয়ে দেশটিতে মারা গেলেন ৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণে যারা মারা গেছেন, তার একটি বড় অংশ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এ রাজ্যে মারা গেছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ।
করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারিতে আছেন চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এসব পেশাজীবীর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ায় তাদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এসেছে। কারণ তারা সুরক্ষিত না থাকলে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা বাড়ে।