দীর্ঘ ৫৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর আজ শনিবার (১৯ জুন) রাত সোয়া ৮টায় রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নেন তিনি। ২৭ এপ্রিল তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন ৩ মে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকবার টেস্ট করার পর ৮ মে তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার পোস্ট-কোভিড জটিলতার কারণে হার্ট, কিডনি এবং লিভার আক্রান্ত হয়। সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তার। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হলেও হঠাৎ করে তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ কারণে তাকে সিসিইউ থেকে বিশেষায়িত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রেখেই এতদিন তার চিকিৎসা চলছিল।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে, তাই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের অনুমতিক্রমে আজ তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হাসপাতালে যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল, তা বাসাতেই দেওয়া সম্ভব বলেই মনে করছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। সে কারণেই তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।