করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর থেকে নগরের প্রধান প্রবেশ পথ সিটি গেইট এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে যান চলাচলের পাশাপাশি অপ্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন সেনা সদস্যরা।
এছাড়া লকডাউনে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রবেশ পথে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যরা। সেইসঙ্গে রয়েছেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া গলি এবং গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে মাইকিং করছে বিভিন্ন সেবাসংস্থা এবং সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন টিম।
নগরের বাইরে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।
এদিকে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার ২৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশ হয়েছে। জরুরি কাজগুলো ছাড়া অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি জানান, নগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১০০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। কাঁচাবাজার ছাড়া সব শপিংমল, বিপণী বিতান বন্ধ থাকবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে টহল চলবে।
যেহেতু শিল্পকারখানা চালু আছে, তাই কেবলমাত্র শিল্প-কারখানায় চালাচলকারী যানবাহন ছাড়া সব যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত `কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি