করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গিয়েছিলেন কর্মজীবী মানুষরা। এদিকে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরের শাহ আমানত সেতু, বদমতলী বাসস্ট্যান্ড এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সাদিয়া আফরোজা বলেন, সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলেন চাঁদপুরে। কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছর যাই। লকডাউনের কারণে তড়িঘড়ি করে আবারো নিজ শহরে ফিরছি।
কুমিল্লা থেকে ফিরছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আবু জাফর। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে গিয়েছিলাম। আবার কষ্ট করে গাড়ি বদলে আসতে হয়েছে। গাড়ি ভাড়ায় বেশি খরচ হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নানা বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা।
এদিকে করোনার সংক্রমণ এড়াতে ঈদ ছুটিতেও বন্ধ সব পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র। শহুরে জীবনের একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি পেতে ঈদের ছুটিগুলোতে চট্টগ্রামের শিশুপার্ক ও চিড়িয়াখানায় ফয়’স লেকসহ সবখানে ভরে উঠত কোলাহলে। কিন্তু এসব বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্দ থাকায় কোরবানির ঈদেও বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা।
বিনোদন কেন্দ্র পরিচালনাকারীরা বলছেন, ঈদের সময়ই তাদের আয়ের মূল সময়। দুই বছর চার ঈদে সব বন্ধ। ফলে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি