শুধু হাসপাতাল নয়, সিআরবিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চসিক মেয়র এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিআরবি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হানি করে হাসপাতাল তো নয়, ইট-পাথরের কোনো স্থাপনা গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না। চসিকের বক্তব্য স্পষ্ট- ‘প্রকৃতি ধ্বংস হতে দেব না’।
সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে মেয়র বলেন, সিআরবি রক্ষায় যা যা করণীয়, আমি তা করবো। নগরের যেখানেই মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মৃতিময় স্থান রয়েছে সবগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণকরা হবে।
চট্টগ্রামের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের কোন হুমকি-ধমকিতে দমানো যাবে না উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ির পরিণাম ভালো হবে না।
সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় চবিতে প্রথম শহীদ চাকসু’র তৎকালীন নির্বাচিত জিএস সাবেক ছাত্রনেতা আবদুর রবের কথা স্মরণ করে চবি উপাচার্য বলেন, শহীদ আবদুর রবসহ মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্যা শহীদের কবর সিআরবিতে রক্ষিত রয়েছে। এই কবরের ওপর কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা শহীদদের প্রতি অবমাননার শামিল। সিআরবিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে আমরা দেব না।
নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব প্রবীণ আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কো-চেয়ারম্যান রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, যুগ্ম সদস্যসচিব রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, স্বপন মজুমদার, সাংবাদিক আসিফ সিরাজ, সংস্কৃতিকর্মী অহিল সিরাজ, আবৃত্তিকার প্রণব চৌধুরী, ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত প্রমুখ।