করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দীন মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে ঢাকায় সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গাজী সালেহ উদ্দীনের ছেলে সালেহীন তানভীর গাজী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দীন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
শোক প্রকাশ
অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশ একজন মুক্তবুদ্ধিচর্চার স্বাধীনতার পক্ষের প্রগতিশীল আলোকিত মানুষকে হারালো। স্রোতের বিপরীতে তিনি নীতি আদর্শে আমৃত্যু অবিচল ছিলেন।
বিবৃতি দাতারা হলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বি. কে বিশ্বাস ও নারী বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সাইফুন নাহার খুশী।
নেতৃবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যলদের প্রতি সমবেদনা জানান।
চবি উপাচার্য ও উপ উপাচার্যের শোক
অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
শোক বাণীতে তারা বলেন, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী, নির্লোভ-নিরঅহংকারী একজন গুণী শিক্ষক। জাতির পিতার আদর্শের অকুতোভয় এ সৈনিক দেশের যেকোন প্রগতিশীল আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নীতি-আদর্শে অবিচল এ প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ চবির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, প্রক্টর, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালনকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন চবি কর্তৃপক্ষ সেটা চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে।