দেশে এবার শনাক্ত হলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ল্যাম্বডা’। রাজধানীতে ৪৯ বছর বয়সী এক নারীর নমুনা সিকোয়েন্সিং করে পেরুর এ ধরনটির (ল্যাম্বডার C.37) উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য জানিয়েছে।
জিআইএসএআইডি জানায়, বিশ্বের ৩৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়া পেরুর এ ধরনটি মার্চ মাসে সংগ্রহ করা এক নমুনায় শনাক্ত হয়েছে।
জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। বিসিএসআইআর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ জিনোম সিকোয়েন্স করে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রধান ভাইরালোজিস্ট ডা. সেলিম জানান, তাদের সফটওয়্যার এক সময় দেখাচ্ছে আছে, এক সময় নেই। এই নিয়ে তারা নিজেরাও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। আরও পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
চিলির গবেষকরা তাদের বিবৃতিতে জানান, আমাদের গবেষণার ফল বলছে- ল্যামডা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাতিক্রমী স্পাইক প্রোটিন তাকে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি ফাঁকি দিতে সাহায্য করে এবং অকার্যকারিতা বাড়াতে পারে।
এমনকি আলফা ও গামা ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনের তুলনায়ও ল্যামডা ভ্যারিয়েন্টের সাপাইক প্রোটিন অধিক শক্তিশালী বলে জানান তারা। যার ফলে কোভিডের অন্য যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ল্যাম্বড্যা ভ্যারিয়েন্টের ওপর প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলো কম কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।
জয়নিউজ/পিডি