চীন-তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। সব ছাপিয়ে এবার একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করলো তাইওয়ানের আকাশসীমায়।
এদিকে, চীনের বিরুদ্ধে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের অভিযোগ তাইপের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চলমান বিরোধ উস্কে দেয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছে বেইজিং।
তবে আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে এবার একদিনে সর্বোচ্চ ৫৬টি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে দেশটিতে। এর মধ্যে ৩৪টি জে-১৬ ফাইটারসহ বোমা হামলায় সক্ষম ১২টি পারমাণবিক এইচ-৬ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে দোশটিতে।
এদিকে, গেল শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত দেড়শো চীনা বিমানের অনুপ্রবেশ ঘটে। প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জেই এই ঘটনা। এদিকে, চীনের জাতীয় দিবসে বেইজিংএর এমন আগ্রাসন দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন অআলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এর আগেও পারমাণবিক বোমা হামলায় সক্ষম ৪টি এইচ-৬ যুদ্ধবিমানসহ রেকর্ডসংখ্যক চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই মিসাইলবাহী যুদ্ধবিমান ধাওয়া দিয়ে প্রতিহত করে চীনা বিমানবহরকে।
গেল কয়েকদিনের ব্যবধানে চতুর্থ দফায় প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের কাছে রেকর্ডসংখ্যক বিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠলো চীনের বিরুদ্ধে। তাইওয়ান সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক আগ্রাসনে চীন জড়িত বলেই দাবি করে ও দায় এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দোষ চাপালো চীন।
তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অধিভুক্ত প্রদেশ হিসেবে দাবি করে এবং এই দাবিকে শক্তিশালী করতে তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ প্রতিনিয়ত বাড়িয়েই চলেছে দেশটি।
জয়নিউজ/পিডি