তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লুকে নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমা ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার। সেসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি রয়েছে।
জানা গেছে, এসব দেশ তুরস্কে কারাবন্দি নাগরিক সমাজের নেতার মুক্তির আবেদন করেছিলেন। টেলিভিশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এরদোয়ান বলেছেন, আমি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি এবং করণীয় সম্পর্কে বলেছি। এই ১০ জন রাষ্ট্রদূতকে যত দ্রুত সম্ভব পারসোনা নন-গ্রাটা (কূটনীতিতে ব্যবহৃত একটি শব্দ, যা বহিষ্কারের আগে প্রথম পদক্ষেপকে নির্দেশ করে) হিসাবে ঘোষণা করতে বলেছি।
তিনি আরো বলেছেন, তাদের অবশ্যই তুরস্ককে জানতে এবং বুঝতে হবে। যেদিন তারা তুরস্ককে জানবে না এবং বুঝতে পারবে না, তাদের অবশ্যই এখান থেকে চলে যেতে হবে।
কোনো কূটনীতিককে নন গ্রাটা ঘোষণা করার অর্থ হলো- তাদেরকে স্বাগত জানানো হচ্ছে না এবং বহিষ্কার করা হবে। তবে তাদেরকে চলে যাওয়ার কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।
এদিকে আঙ্কারায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা গত ১৮ অক্টোবর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, তুরস্কের জনহিতৈষী ও সুশীল সমাজের নেতা ওসমান কাভালাকে মুক্তি দেওয়া হোক। কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া সত্ত্বেও চার বছর আটক আছেন তিনি। ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সম্পর্কিত অভিযোগ থেকে গত বছর তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। তবে তাকে মুক্তি দেওয়ার আগেই পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
কূটনীতিকদের তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এরদোয়ানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থান করছেন। আজ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সে দেশেই থাকার কথা তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
জয়নিউজ/পিডি