নগরের বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ‘ফাটল’ ধরা পড়ার পর তিনটি মুখে ব্যারিয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ফ্লাইওভারের মুখগুলোতে ব্যারিয়ায় নির্মাণের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এ বিষয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের পক্ষ থেকে এ সেফটি গেট (ব্যারিয়ার) বসানোর কাজ চলছে। ফ্লাইওভারের তিনটি মুখে সেফটি গেট বসানো হবে। ব্যারিয়ার বসানো হলে ফ্লাইওভার দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ‘ফাটল’ পরীক্ষায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। কমিটিতে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে চিঠি দিয়েছে করপোরেশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ চিঠি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল নিয়ে ভিন্ন ধরনের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। পিলারটি ভালোভাবে যাচাই–বাছাই করার জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত দল গঠন করা হচ্ছে। এতে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য চুয়েট ও সওজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত দলে সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কেউ থাকবেন না।
অন্যদিকে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র্যাম্পে যান চলাচল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। পিলারে ‘ফাটলে’র খবর পেয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ ওই স্থানে প্রতিবন্ধক বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেছিলেন, উড়াল সড়কের (ফ্লাইওভার) নির্মাণ ত্রুটির কারণে র্যাম্পের দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এরপর বুধবার (২৭ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) ও নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের কর্মকর্তারা দাবি করেন, উড়াল সড়কের র্যাম্পের পিলারে কোনো ফাটল পাওয়া যায়নি। তাদের দাবি, যা দেখা যাচ্ছে তা মূলত কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট।
জানা গেছে, মূল ফ্লাইওভারের নকশায় এ র্যাম্প ছিল না। পরে এই র্যাম্প সংযোজন করা হয়। আর এই র্যাম্পের বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপর থেকে ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র্যাম্পে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামের সবগুলো ফ্লাইওভারই নির্মাণ করেছে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারসহ চারটি ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চসিকের কাছে হস্তান্তর করে সিডিএ।