দেশে-বিদেশে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, এই রেজিমেন্টের বীর সেনানিরাই ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও একনিষ্ঠ উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যুক্ত হয়েছে আরও ১০টি ব্যাটালিয়ন। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁরই দিক নির্দেশনায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে সুসজ্জিত করা হয়েছে যুগোপযুগী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এপিসি, যানবাহন, মিজাইল, ভারী অস্ত্র, গ্রাউন্ড সার্ভেইলেন্স রাডার, মডার্ন ইনফ্যান্ট্রি গ্যাজেট ও অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম।
পরে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বীর শহীদদের স্মরণে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে অবস্থিত ‘অজানা শহীদ সমাধি’ এ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
এর আগে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধান ও কর্নেল অব দি রেজিমেন্টকে স্বাগত জানান
সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমকর্তারা। এসময় তাকে কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং প্যারেড পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসাবে সেনাবাহিনী প্রধান সামরিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রবীনতম রেজিমেন্ট “ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট” এর অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, স্থানীয় ফরমেশন এবং বাংলাদেশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি