বাজারে শীতকালীন সবজির আধিক্য থাকলেও গত দুই সপ্তাহের মতো এখনো দাম কমেনি। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় বাজারে যোগান আগের চেয়ে কম, তাই দাম একটু বেশি। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি দামের কারণে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত ক্রেতারা বিপাকে রয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিকেজি শিমের ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকায়, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতিআঁটি লালশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজিতে ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন প্যাকেট তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এসব বাজারে প্রতিকেজি চিনির বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
চালের বাজারে মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, মোটা চালের ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দামও। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগির ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি রুই মাছের ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, শিং মাছের ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি