চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনে কোন চমক দেখাতে পারল না বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশের দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন হয়েছেন আবিদ আলি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দুই ওপেনার আবিদ আলি এবং আব্দুল্লাহ শফিক। ৯১ রান করে তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ রয়ে গেল তার।
এর আগে লিটন দাস ব্যাটিংয়ে থাকতেই দুইশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশের লিড। সবচেয়ে সফল এই ব্যাটার আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে আর একটি রানও যোগ করতে পারেনি বাকি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৫ রানের মাথায় চারটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন লিটন-রাব্বিরা। তবে তারাও বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি।
চতুর্থ দিনের শুরুতে মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইয়াসিরের ইনজুরি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরে চট্টগ্রামের সাগরিকার পাড়ে যেন অন্ধকার নেমে আসে। চাপা আতঙ্ক আর উদ্বেগ টিম ডাগ আউটে।
চতুর্থ দিনে সোমবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছিল অভিজ্ঞ টাইগার সদস্য মুশফিকের ওপর। দিনের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই হাসান আলিকে বাউন্ডারি মেরে দাপুটে শুরুও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় বলেই বোল্ড হন মুশি। সমর্থকদের হতাশা বাড়িয়ে ৩৩ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৫ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে মূল্যবান ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া সাজিদ খান ৩টি এবং হাসান আলী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
জয়নিউজ/পিডি