চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৪৮ ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষ থামাতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে প্রক্টরিয়াল বডি ও হাটহাজারী থানার ওসির উপস্থিতিতে দুই পক্ষের ছয় জন প্রতিনিধি আলোচনায় বসেন। দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
বৈঠকে সি এফ সি গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন শায়ন অমিত, শরীফুল ইসলাম ও সঞ্জয়৷ বিজয় গ্রুপ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন তারেকুল ইসলাম, ফারুক ও মিনহাজ। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জয়নিউজকে জানান. অছাত্র কোন নেতাকে এতে রাখা হয়নি।
এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে স্বাগত জানিয়ে চবিতে আনন্দ মিছিল বের করেন নওফেলের অনুসারীরা।
মিছিলে উপস্থিত দুই পক্ষের মধ্যে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা জাহাঙ্গীর জীবনকে আটক করা হয়। পরে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযানে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জয়নিউজ/জুলফিকার