নগরের বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। শীতের বাজারে সরবরাহ ভালো থাকলেও কমছে না সবজির দাম। আলু আর বাঁধাকপি ছাড়া ৪০ টাকার নিচে বাজারে আর কোনো সবজিই নেই
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারী বাজারে দাম বাড়ায় বেড়েছে সবজির দাম। অন্যদিকে শীতের মৌসুমে সাগরের মাছের সরবরাহে টান পড়ায় মাছের দাম এই উর্ধ্বগতি।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোনো বাজার মনিটরিং না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ইচ্ছেমত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরের রিয়াজ উদ্দীন বাজার, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, আলুর ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে মিনিকেট ৬০ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, মোটা চালের ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বেড়েছে দেশি ডালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। গতসপ্তাহে দেশি ডালের কেজি ১০০ টাকা ছিল। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। প্রতিকেজি পেয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চায়না আদা ১২০, দেশি ও ভারতীয় আদা ১০০ টাকা, এলাচ ১৯শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকায় ।
এদিকে এই সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ ও দেশি মুরগি ৪শ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৮০০ ও গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে ইলিশের যোগান একেবারে কম থাকায় প্রতিকেজি হাজার থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি