খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আসতে আর মাত্র কয়েক দিন। বিশ্বের দেশে দেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা রকমের প্রস্তুতি। পিছিয়ে নেই সিডনি আর ব্রাজিলও।
বাহারি রকমের আলোকসজ্জা, রং-বেরঙের বল, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ; এ সবকিছু মিলিয়েই দেশ দুটিতে চলছে উৎসবের আমেজ।
অন্ধকার আকাশে বিদ্যুৎ গতিতে অসংখ্য আলোর এই আসা-যাওয়া জানান দিচ্ছে বর্ণিল এক উৎসবের। আকাশের সব তারা যেন নেমে এসেছে মাটিতে। সেন্ট ম্যারিস ক্যাথড্রেলের দেয়ালে দেবদূত, মেরি, অ্যাঞ্জেল এবং তিন জ্ঞানী ব্যক্তির উট চালানো- সব কিছুই বড়দিনকে ঘিরে। ঝিকিমিকি ত্রিভূজ লাইটিং উৎসবের শোভাবর্ধন করছে বহুগুণে।
প্রায় এক বছর লকডাউনে থাকার পর এবারের ক্রিসমাস সিডনিবাসীর জন্য বহুল প্রতীক্ষিত। হালকা রঙের উল্টো ইউয়ের মাঝে ঘুরতে ঘুরতে প্রিয় মানুষের সঙ্গে মুঠোবন্দি করা মুহূর্তগুলো যাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও রঙিন হয়ে ওঠে এই প্রচেষ্টাই সবার। এ ছাড়া পিট স্ট্রিট মলের আলোর ক্যানোপির নিচের দোকানগুলো ক্রেতাদের জানান দিচ্ছে বড়দিনের উৎসবের।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মূল আকর্ষণের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার এলইডি লাইট ও ৩৩০টি বাউবল দিয়ে সাজানো ক্রিসমাস ট্রি দৃষ্টি কাড়ছে আগতদের। পানির ধারে উঁচু ভবনে আলোর প্রতিফলন নগরীকে সরব করছে উৎসবের এই মৌসুমে। আর সবকিছুর সঙ্গে ক্রিসমাস ক্যারোল সিডনিবাসীদের জানাচ্ছে শুভেচ্ছা বার্তা।
সান্তা ক্লজকে ছাড়া বড়দিনের আনন্দ যেন একেবারেই মাটি। তবে এবার শুধু মাটির ওপরে না, সান্তাকে পাওয়া যাচ্ছে পানির নিচেও।
স্থানীয় সময় সোমবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরের একটি অ্যাকুরিয়ামে হাঙর ট্যাংকে ডুবুরিরা সান্তা ক্লজ সেজে নেমেছেন সবাইকে আনন্দ দিতে। মোটা কাচে আবদ্ধ অ্যাকুরিয়ামের বাইরে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।
ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনে বাচ্চাদের সঙ্গে বড়দেরও যেন উৎসাহের কোনো কমতি নেই।
পৃথিবীর বেশ অনেক দেশেই চলছে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি। সুখ, সমৃদ্ধি আর শান্তিতে ভরে উঠুক পৃথিবী এমনটাই আশা সবার।
জয়নিউজ/পিডি