ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আধুনিক আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স পেয়েছে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি হস্তান্তর করেন ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি।
এ সময় অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দেওয়া হচ্ছে। ভারত কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট, ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার, জনগণ ও সেনাবাহিনী সার্বিক সহায়তা করেছে। ৫০ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নতিতে আমরা ভারতবাসী আনন্দিত।
ক্যামেরুনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, আমার খুব ভালো লেগেছে চট্টগ্রাম। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ৮২ বছরে রাউজান এসেছিলেন। আমাদের কলকাতাসহ ছোট শহরেও মাস্টার দা’র নামে স্মারক, সড়ক আছে। আমি থাকাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় ভিসা সেন্টার খুলেছি, এতে ভিড় কমেছে চট্টগ্রামে। ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ ভিসা ইস্যু করেছিলাম আমরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, নতুন বছরে খুশির খবর রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভারত সরকারের উপহারের ১০৯টি আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সের একটি পেয়েছে। ভারত আমাদের নিজের বাড়ির মতো। খাবার, সংস্কৃতিতে মিল আছে। চিকিৎসার জন্য অনেকে ভারতে যান। অনেকে বেড়াতে যান। আমি আশা করবো, ভারত বিশেষ ক্যাটাগরিতে ভিসার মেয়াদ ১০ বছরে উন্নীত করবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খান বলেন, কোভিড আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে গেছে, কিন্তু বিপদে পাশে দাঁড়ানোর, সহমর্মিতার শিক্ষা দিয়েছে। এ আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স শুধু কোভিডকালে নয়, সবসময় মানুষকে বাঁচাতে সহায়তা করবে। আমরা ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।
রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুর আলম দীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, সদস্য সুমন দে প্রমুখ।