যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিটিশ রাজকীয় ও সামরিক খেতাব হারিয়েছেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের ছোট ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রু। রানির সম্মতিতেই ডিউক অব ইয়র্কের পদবি রানির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় বাকিংহাম প্যালেস।
এর আগে অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালতে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়। যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মার্কিন ব্যবসায়ী জেফরি এপস্টেইনের ম্যানহাটনের একটি বিলাসবহুল বাড়িতে ২০০১ সালে ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামের এক কিশোরীকে অ্যান্ড্রু যৌন হয়রানি করেছিলেন বলে আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এপস্টাইনের মদতে অ্যান্ড্রু একাধিকবার তাকে যৌন হেনস্থা করেন। লন্ডনে এপস্টাইনের সহকারীর বাড়িতে জোর করে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় শিগগিরই মার্কিন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন অ্যান্ড্রু। চলতি বছরের শেষ নাগাদ নিউইয়র্কের আদালতে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। এদিকে মামলার বিষয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান আইনি বিষয়ে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সাধারণ নাগরিক হিসেবেই অ্যান্ড্রু ওই মামলার মুখোমুখি হবেন বলেও জানায় বাকিংহাম প্যালেস।
এ দিন নিউইয়র্কের আদালতে অ্যান্ড্রুর আইনজীবী লিখিতভাবে বলেন, জেফ্রি এপস্টাইন হয়তো ওই নারীকে যৌন হেনস্থা করেছে। যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তবে তা ক্ষমার অযোগ্য। তবে রাজকুমার অ্যান্ড্রু কখনও ভর্জিনিয়াকে যৌন হেনস্থা করেননি। অ্যান্ডু নিজেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জিওফ্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ দম্পতির তৃতীয় সন্তান ৬১ বছর বয়সী প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ফকল্যান্ড যুদ্ধসহ বেশকয়েকটি যুদ্ধে তিনি ব্রিটেনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
এদিকে পদবি হারানোয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অ্যান্ড্রু ভাইস এডমিরাল এবং প্রিন্স পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কোনো ধরনের সরকারি কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
এদিকে খুব শিগগিরই এ পদে রাজপরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
জয়নিউজ/পিডি