ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফ্রান্স-জার্মানির মধ্যস্থতায় আট ঘণ্টার বেশি আলোচনার পর গতকাল বুধবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
সংকট নিরসনে ফ্রান্স ও জার্মানিকে নিয়ে বৈঠক করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ওই বৈঠকেই প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের দাবি, সীমান্তে রাশিয়া যে সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে তা পূর্ণ মাত্রার হামলার জন্য যথেষ্ট নয়।
ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে রাশিয়াকে কূটনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোও।
বুধবারও দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে সামরিক মহড়া চালায় রুশ সেনারা।
নিজেদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেনারা ওই এলাকায় অবস্থান করছে বলে বার বার দাবি করে আসছে রাশিয়া। পশ্চিমাদেশগুলোর কাছে নিজেদের ভূখণ্ডে কোনো আঘাত করা হবে না এমন নিশ্চয়তাও চেয়েছে মস্কো।
২০১৯ সালের পর এই প্রথম একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করতে রাজি হলো রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। তারপর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর মধ্যে লড়াই চলছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনার সমাবেশ ঘটায় রাশিয়া। ন্যাটোর আশঙ্কা ছিল, রুশ সেনা মোতায়েন কেবল ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপে নতুন সংঘাতের সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি