৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের কাছে ১৭ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের সঙ্গে সাংবাদিক-কর্মচারীদের মতবিনিময় সভায় সিইউজের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ৯ম ওয়েজ বোর্ডে অর্ন্তভুক্তকরণ, সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২০০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি, সরকারি কর্মচারীদের মতো প্রতি বছর মূল বেতন ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি, যারা ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন যারা করবে না তাদের পত্রিকার ডিক্লারেশন/ লাইসেন্স বাতিল, সাংবাদিকদের জন্য অবসরকালীন ভাতা চালু, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ, সম্পাদক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, মনিটরিং সেলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধি রাখা, ডিএফপি’র নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে যারা ডিএফপি থেকে রেইট কার্ড নিয়েছে তাদের রেইটকার্ড বাতিল করাসহ মোট ১৭ দফা রয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উত্থাপিত প্রস্তাবে।
৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও কমিটির সদস্য সচিব মো. মিজান উল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সৈয়দ ইশতেয়াক রেজা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের এর সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার, মহাসচিব খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স এর সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খান, মহাসচিব কামলা উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিইউজের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম. নাসিরুল হক, মোস্তাক আহমেদ, শহীদ উল আলম, সিইউজের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিন্দ্য টিটো প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সংবাদপত্রে ৮ম ওয়েজ বোর্ড পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করা, কথায় কথায় সাংবাদিক কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি করা, সিইউজের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী সাংবাদিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান না করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। যে সব পত্রিকা সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ৩ মাস বকেয়া রাখবে তাদের ডিএফপি’র নিবন্ধন বাতিল, পত্রিকার সার্কুলেশন এবং গ্রস আয়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)র সার্টিফিকেট প্রদান, ঢাকা-চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ’এ’এবং ’বি’ক্যাটাগরীতে পত্রিকার শ্রেণীবিন্যাস করণ, পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ জন সাংবাদিক এবং ৪০ জন কর্মচারী থাকার বিধিবিধান চালু, সাংবাদিকদের সকল জাতীয় দিবসে ছুটি ঘোষণা করাসহ সিইউজের উত্থাপিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন উত্থাপিত প্রস্তাব নিয়ে ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের সভায় আলোচনা করার কথা জানান সভার সভাপতি বিচারপতি মো. নিজামুল হক। সাংবাদিকদের শ্রম আইনে আওতায় নেয়ার ফলে সাংবাদিকদের মর্যাদাহানি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন। ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে সুপারিশে সাংবাদিকরা যাতে যোগ্যতম মর্যাদা পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলেও নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। পরে সিইউজের পক্ষ থেকে ১৭ দফা সম্বলিত লিখিত প্রস্তাব ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জয়নিউজ/জুলফিকার