চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি যুগে যুগে আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। বিশেষ করে ৫২, ৬৬, ৬৯ এবং ৭১-এর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন।
‘একুশের চেতনায় পতাকা হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সুন্দরভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে একের পর এক লক্ষ্য পূরণ করছে। সঠিকভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনহিতকর এসব সাফল্য বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এসব সফলতার মূলেই একুশের চেতনা কাজ করেছে।’
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাট্যজন অভীক ওসমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অমর একুশে বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বেলাল আহমেদ।
ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, সাবেক মেয়র ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কারণে বইমেলার জন্য জিমনেসিয়াম চত্বর ব্যবহারের সুযোগ হয়েছে। অন্যদিকে প্রকাশক, নাগরিক সমাজ সমন্বয়ের একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে বইমেলার মাধ্যমে। বইমেলাকে প্রাণের উৎসবে পরিণত করার প্রয়াসে সব মহলের যে সহযোগিতা পেয়েছি তার জন্য মেলা আহ্বায়ক হিসেবে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
নাট্যজন অভীক ওসমান বলেন, চট্টগ্রাম সর্বকালের সর্বযুগের আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি ভাষা আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকায় ছিল চট্টগ্রাম। তিনি চট্টগ্রামের বইমেলা আয়োজনের সূচনায় যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের উদ্যোগও স্মরণ রাখার আহ্বান জানান।
আলোচনা দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বংশী শিল্পকলা একাডেমি এবং নৃত্য পরিবেশন করে চারুতা নৃত্যকলা একাডেমি। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন নিশা চক্রবর্ত্তী, শামসুল হায়দার তুষার ও শিমলী দাশ। বইমেলার ৫ম দিন বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রবীন্দ্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।