চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অটিজম শিশুর মানসিক বিকাশে অভিভাবকের পরিচর্যার বিকল্প নেই। অটিজম শিশুকে সাধারণ সন্তানের মতো গড়ে তুলতে পারলে সমাজ-দেশ উপকৃত হবে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চসিকের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন আয়োজিত অটিজম বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক এম. নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার প্রটেকশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, পরিমিত পরিচর্যা, স্কুলভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সঠিক স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রয়োজনে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর অটিজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ সময় নিষ্পাপ-এর অটিজম হোম প্রতিষ্ঠায় তার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করেন মেয়র।
এ প্রসঙ্গে মেয়র জানান, তার বেতনের শতভাগ সম্মানী ভাতা অটিজম এবং গরিব দুঃস্থ অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হয়। তিনি সমাজের বিত্তবানদের অটিজম শিশুদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
২য় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনালের প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক এমজেএফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ২য় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন ডা. সুকান্ত ভট্টচার্য পিএমজেএফ, চট্টগ্রাম চেম্বার এর পরিচালক লায়ন অঞ্জন শেখর দাশ সিআইপি, লায়ন অশেষ কুমার উকিল, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার অজয় শংকর পারিয়াল, লায়ন সঞ্জিবন চন্দ্র সরকার।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আল ফোরকান, প্রফেসর ড. লায়লা খালেদ, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি প্রফেসর ডা. বাসনা মুহুরী, ডা. তানজির রশিদ শরণ, অক্যুপেশনাল থেরাপিস্ট অনিমা দাশ নূপুর, নিষ্পাপ এর সহ-সভপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী, চুয়েটের অধ্যাপক ড. সুদীপ পাল, সালমা নূর, নিষ্পাপের যুগ্ম সম্পাদক সুজিত কুমার দত্ত, প্রকৌশলী অসী বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ। সঞ্চালনায় ছিলেন নিষ্পাপ এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন অটিজম স্কুল এবং প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন অভিভাবক এবং প্রফেশনালস এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং মহানগরের পক্ষ থেকে নিষ্পাপ অটিজম স্কুলে এয়ার কন্ডিশনার এবং সেন্সরি সামগ্রী প্রদান করা হয়।