রমজানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের পরিবর্তে নিজস্ব মূল্যতালিকায় বাড়তি দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্ধারিত দাম তুলে নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য সত্য নয় বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নগরের কাজীর দেউড়ি ও রিয়াজউদ্দিন কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত দামের বাইরে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন মো. আলী নামের এক মাংস ব্যবসায়ী।
তিনি জয়নিউজকে বলেন, ‘ওই দামতো এখন নাই, স্যাররা দাম তুলে দিছে।’
তাই বিক্রেতারা নতুন মূল্যতালিকা দেখিয়ে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন।
অপরদিকে নগরের রিয়াজউদ্দিন কাঁচাবাজারেও একই দাম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে ব্যবসায়ীরা নিজস্ব মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন।
মো. আইয়ুব নামে এক ক্রেতা জয়নিউজকে বলেন, কেজিতে ৭০০ টাকা দরে দেড় কেজি গরুর মাংস কিনেছি ১ হাজার টাকায়। এক টাকাও কম রাখা হয়নি। বরাবর ৭০০ টাকা দাম নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাজার মনিটরিংয়ের পরেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। তারা কোনোভাবেই মূল্যতালিকা মানছে না। আমাদেরও বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী হারুন জয়নিউজকে জানান, আমরা বেঁধে দেওয়া দামেই মাংস বিক্রি করছি। গরুর মাংসের যে দামের কথা বলা হচ্ছে সেটি আসলে মহিষের জন্য। ভারত থেকে গরু আসছে না, সেজন্য গরুর মাংস বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, নির্ধারিত মূল্যতালিকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। সরকারের পক্ষ থেকে গরু ও খাসির মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল টিম নিয়ে বাজার মনিটরিং করছেন। যাতে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা হয়। এরপরও কেউ বাড়তি দামে গরুর মাংস বিক্রি করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/আরসি