নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয়েছে ৪৯ জন। পুলিশ বলছে, এই হামলার পেছনে আরও অপরাধীরা জড়িত রয়েছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ক্রাইস্টচার্চে। তবে ভয়াবহ ওই হামলা থেকে টাইগার সদস্যদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে এ ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়েছে টাইগারদের।
জানা যায়, জুম্মার নামাজ আদায় করতে বাংলাদেশ দলের কয়েকজন মসজিদে ঢুকতে গিয়ে দেখতে পান, রক্তাক্ত শরীরে বেরিয়ে আসছেন এক মহিলা। তখন তিনি তামিম ইকবালদের বলেন, ভেতরে যেয়ো না, ভেতরে গোলাগুলি চলছে। ৫-১০ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছালে এ হামলার শিকার হতেন টাইগাররা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সবাই নিরাপদে আছেন, স্বাভাবিকভাবেই তারা আতঙ্কগ্রস্ত।
ডিনস এভে অবস্থিত মসজিদ আল নুর এবং লিনউড এভের লিনউড মসজিদে দু’জন বন্দুকধারী এ হামলা চালায়। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের একজন নিজেই হামলার দৃশ্য ভিডিও করেছেন। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের বাইরেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় ছয় মিনিট ধরে হামলা চালানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রথমে মসজিদের বাইরে গুলি চালানো হয়। এরপর হামলাকারীরা মসজিদের ভেতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। মেঝেতে পড়ে থাকা মৃতদেহের ওপর একের পর এক গুলি চালিয়ে যায় হামলাকারী।