ধর্ম মানুষকে একটি নিয়মের মধ্যে শৃঙ্খলিত এবং মানুষের মাঝে কোমলতা সৃষ্টি করে যা মানুষকে মানুষের প্রতি বিনয়ী হওয়ার সুযোগ লাভ করে। এই শুদ্রতা সমাজের ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে। ফলে মানুষের সম্পর্কের দৃঢ়তা আরও শক্ত ও সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জন্মাষ্টমী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৭ডিসেম্বর) হাটহাজারীর সীতা কালী কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিপক নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে। এতে আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.তপন কান্তি দাশ।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন হাটহাজারী জন্মাষ্টমী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.কথক দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম পালিত টিকলু।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বাবলু দাশের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক কেশব কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক উদয় সেন, পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুব্রত নাথ, কল্যাণ পাল, ডা. বিজয় কুমার সরকার, দুলাল রুদ্র, লিটন মহাজন।
সম্মলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. অসীম দাশগুপ্ত ,আশীষ দে, তপন পাল, বিমল নাথ, যুগ্ম-সম্পাদক ছোটন দাশ ও দীপন দাশ,নীকুশীল, প্রকৌশলী আনন্দ চন্দ্র নাথ, সুমন চৌধুরী, রুদ্র আচার্য্য, বিশ্বজিত দে, রাজীব সরকার, লিটন রুদ্র, জনি বিশ্বাস, শাওন দাশ ও সাহশ শীল।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আগামী দু’বছরের জন্য অধ্যাপক শিপক নাথ প্রধান উপদেষ্টা, লিটন মহাজন সভাপতি, সাংবাদিক বাবলু দাশ সাধারণ সম্পাদক, মুন্সী বিশ্বজিত দে অর্থ সম্পাদক ও জনি বিশ্বাসকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।