পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শুক্রবারের (৩ আগস্ট) তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৭ জুলাই থেকে বিমানের ১০টি হজের বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হলো।
এর আগে ২৭ জুলাই দুটি (বিজি-১০৪৫ ও বিজি-৭০৪৫), ৩১ জুলাই একটি (বিজি-৩০৫৭), ১ আগস্ট দুটি (বিজি-৩০৫৯ ও বিজি-৫০৫৯) ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি হজ ফ্লাইট (বিজি-১০৬৩ ও বিজি-৫০৬১) বাতিল করে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও হজ এজেন্সিগুলো যথাসময়ে টিকেট না কেনায় একের পর এক ফ্লাইট বাতিলের মতো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
যাত্রী সংকট ও ফ্লাইট বাতিলের কারণে এখন পর্যন্ত বিমানের ৪ হাজার ক্যাপাসিটি লস (যাত্রী পাঠাতে না পেরে আসন নষ্ট) হয়েছে বলেও জানান শাকিল মেরাজ।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত জেদ্দা ও মদিনায় আরও ৬টি ফ্লাইট যাত্রী সংকটে বাতিলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি সত্যি হলে আনুমানিক ২ হাজার ৪০০ ক্যাপাসিটি হারাতে হবে। পরিস্থিতির উত্তরণ চাইলে হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমান প্রতিদিনই ৫২৮টি হজ এজেন্সিকে ই-মেইলের মাধ্যমে কোন ফ্লাইটে কত সিট খালি আছে অবহিত করে দ্রুত টিকিট কেনার তাগিদ দিয়ে আসছে।
এ বছর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়িভাড়া ও ভিসার আগেই টিকেট কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক এজেন্সি তাদের নির্ধারিত টিকেট কিনেনি। ফলে এখনো ৫ হাজার ৭০০ টিকেট অবিক্রিত রয়ে গেছে।
জয়নিউজবিডি/আরসি