দেশজুড়ে ডেস্ক : পায়ের নিচে ডায়েরি ও চিঠিপত্র (চিরকুট) রেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে উড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছে রুমি আক্তার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রী।
আত্মহত্যার আগে মাকে উদ্দ্য্যেশ্য করে লেখা ওই চিরকুটে উল্লেখ করা হয়, নিজের প্রেমিক তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাই অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে। চিরকুটে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকের প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও লিখে গেছেন প্রেমিকা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চরদৌলতদিয়া পরশউল্লাহ মাতুব্বরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া স্কুলছাত্রী রুমি আক্তার ওই পাড়ার বদু প্রামানিকের মেয়ে। সে সাহাজদ্দিন মণ্ডল ইনস্টিটিউট থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই দেওয়ান শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিজ ঘর হতে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
একইসঙ্গে রুমির লেখা চিরকুটটাও জব্দ করা হয়েছে। চিরকুটে অভিযুক্ত প্রেমিক শিমুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার কুলারহাট এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, রুমির সঙ্গে শিমুলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রুমির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও প্রতিবেশী শারমিন আক্তার নানানভাবে এ প্রেমে সহযোগিতা করত। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে শিমুলের হাত ধরে শারমিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচা আমজাদ হোসেন জানান, শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির রান্না করে রুমি। পরে তার মা শাহেদা বেগম স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে যান।
আধাঘণ্টা পরে এসে দেখেন রুমি শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে উড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। এসময় তার পায়ের নিচে একটি ডায়েরি ও চিঠিপত্র পাওয়া যায়। এর মাধ্যমেই তারা ঘটনা জানতে পারেন।
জেএন/পিআর