নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যেই হঠাৎ স্কুল ড্রেস বিক্রি বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সাদা শার্ট।
বছরের প্রথমদিকে সাদা শার্ট বিক্রির হিড়িক থাকলেও, বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে এই বিক্রি অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে খোদ বিক্রেতাদের কাছে।
বিক্রেতারা জানান, বছরের এই সময়ে শার্টের তেমন চাহিদা থাকে না। কিন্তু এখন যে হারে তা বিক্রি হচ্ছে, তা বছরের শুরুর দিকের চাহিদাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর এগিয়ে আসে অন্যান্য স্কুল-কলেজের ছাত্ররা। ক্রমে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এর মধ্যে আন্দোলনে ছাত্ররা ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পৃক্ত হয়ে গেছে বলে তথ্য মিলেছে।
এর মধ্যে আন্দোলনে ছাত্ররা ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পৃক্ত হয়ে গেছে বলে তথ্য মিলেছে। শুক্রবার (৩ আগস্ট) শাহবাগ এলাকায় গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার সময় আমিনুল ইসলাম নামের এক বাসদ নেতাকে আটক করে পুলিশ।
আর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা যারা করছে, তারা ছাত্র কি না, সন্দেহ আছে। তাদের ব্যবহার নিয়েও সংশয় আছে। এরমধ্যেই স্কুল ড্রেস বিক্রির বিষয়টি সন্দেহকে আরও জোরালো করলো।
রাজধানীতে স্কুল ড্রেস বা সাদা শার্ট পাওয়া যায় এমন কয়েকটি মার্কেটে ঘুরে দোকান মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিষয়টা অবাক করার মত। এই টাইমে কখনো এত শার্ট বিক্রি হওয়ার কথা না। যা বিক্রি হয়েছে তার সব সাদা আর কালো স্কুল ড্রেস। বুধবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আর কোনো ছোট শার্ট নয়, সব বড়গুলো বিক্রি হয়েছে।
একজন বিক্রেতা জানান, অনেক শার্ট বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটা শার্টের পিছনে দর্জিদের দিয়ে স্কুলের লোগো লাগানো হয়েছে।
একজন বলেন, ‘কে ছাত্র, কে ছাত্র না, তা তো আমরা জানি না। আমাদের কাছে সবাই কাস্টমার। আর আমরাও তো কোনো বেয়াইনি জিনিস বেচিনি।’
জয়নিউজবিডি/আরসি