’শুক্রবার সকালে আমার বাপের বাড়ীতে অবস্থানের সুযোগ নিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এক মহিলাকে দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে উভয়কে হাতেনাতে আটক করি’।
শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকালে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সাংবাদিকদের এমনটা জানান হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামের মৃত শফিক পুত্র কে এম ইউছুফ (৪০) এর হতভাগা স্ত্রী জেসমিন আক্তার। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ (নং-৪১৮৭) দায়ের করে। ওই দিন সকালে ‘অনৈতিক কর্মকান্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে কে এম ইউছুফ ও উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকার সুলতান কোরবানের বাড়ির নুরুর কন্যা সীমা আক্তার (২২) এক যুবতীকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে আটককৃত কে এম ইউসুফের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সে বলে আমি ওই মেয়েটিকে বিবাহ করেছি দেড়মাস আগে। মাদ্রাসার এক শিক্ষক সেই বিবাহ পড়ান। কোন কামিননাম সহ বিবাহের সাক্ষ্য প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে বিবাহ হয়েছে মৌখিক ভাবে। আটককৃত কে এম ইউসুফ নিরাপদ সড়ক চাই এর হাটহাজারী শাখার আহবায়ক ও হাটহাজারী সমাচার নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ওই পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামীম শেখ এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্ত্রী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।